গাড়ির ১২ ভোল্ট ব্যাটারি ভালো রাখতে যত্ন নিবেন যেভাবে
একটি ব্যাটারি তিনটি প্রধান কারণে নষ্ট হয়; তাপ, কম্পন বা ভাইব্রেশন এবং চার্জে দিয়ে সাথে সাথেই খুলে ফেলা।
1. অতিরিক্ত তাপের তারতম্য ও বৈদ্যুতিকভাবে নির্গত ঠাণ্ডা বাতাস (ইলেক্ট্রোলাইট ভ্যাপোরাইজেশন) এই দুটি কারণেই গাড়ির ব্যাটারি নষ্ট হতে পারে । আর যদি ব্যাটারির আশেপাশে সরাসরি বাতাস নির্গমনের টিউব থাকে অথবা ঠাণ্ডা সরানোর কোন ব্যাবস্থা না থাকে সে ক্ষেত্রে ব্যাটারির সমস্যা হতে পারে।
2. অতিরিক্ত কম্পন ভেতরের সব সংযোগ নড়বড়ে করে ফেলতে পারে । ঠিকমত ব্যাটারি সংযুক্ত করলে তা অতিরিক্ত কম্পনের ফলে ব্যাটারির নড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে।
3. চার্জ সম্পূর্ণ না করে খুলে ফেলা সীসা এসিড ব্যাটারির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। উচ্চ মাত্রার সংক্ষিপ্ত ক্ষতি বলাও ভুল হবেনা। ষ্টেট অফ হেলথ জানায় , গাড়ির ব্যাটারি চার্জ সম্পূর্ণ না করে খুলে ফেললে প্লেট সালফেশন হয় যা ব্যাটারির ক্ষতি করে।
সারারাত বা সব সময় ব্যাটারি চার্জে দিয়ে রাখলে ব্যাটারির যে ক্ষতি হয়, তা কখনই পুরোপুরি মেরামত করা সম্ভবপর হয় না।
4. থেকে থেকে গাড়িটি চালু করলেও ব্যাটারি নষ্ট হতে পারে। কারন অল্প সময়ের জন্য গাড়ি চালু করলে ইঞ্জিনের জেনারেটর ও বেশিক্ষন ধরে চলতে পারেনা, ফলে আসল ব্যাটারি চার্জও হতে পারে না। যারা অল্প ভ্রমণ করেন তাদের জন্য ফ্লোট চার্জার বেশী উপযোগী।
কখন বুঝবেন গাড়ির ব্যাটারি বদলানোর সময় হয়েছে ?
বর্তমানে একটি গাড়ির ব্যাটারি ৪-৭ বছর চলে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এর ব্যবহার, আবহাওয়া, যত্নের উপর ব্যাটারির কার্যক্ষমতা নির্ভর করে। এখন ব্যাটারি পরীক্ষা করার পদ্ধতি উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু একটি গাড়ির দুর্বল ব্যাটারি কিছু লক্ষন দেখলেই আগে থেকে বোঝা যায়। দুর্বল ব্যাটারির লক্ষন হল, হেডলাইটের আলো কমে যাওয়া, এয়ার কন্ডিশনের কম্প্রেশনে শব্দ করা, ইঞ্জিন ধীর গতিতে চলা ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে ব্যাটারি নষ্টের পথে। গাড়ির ব্যাটারি সব সময় পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ বিশেষ করে শীতকালে বা শীত আসার আগে। up